Home
About
Contact
Logo
সর্বশেষ ব্লগপোস্ট গুলো

স্মার্টফোন তৈরিতে কত খরচ? জানেন কি আপনার কাছ থেকে কি পরিমাণ লাভ রাখছে?

স্মার্টফোন তৈরিতে কত খরচ? জানেন কি আপনার কাছ থেকে কি পরিমাণ লাভ রাখছে?
বর্তমানে উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত প্রায় সকলের কাছেই বেশি কিংবা কমদামি স্মার্ট ফোন দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাপল কোম্পানি থেকে শুরু করে সিমফোনি কোম্পানি প্রত্যেকেরই স্মার্টফোনগুলোর দাম দিনদিন বেড়েই চলেছে। আসলে স্মার্টফোনগুলো তৈরিতে খরচ কেমন হয়? আর আপনার কাছ থেকেই তারা কি পরিমাণ মুনাফা করছে। স্মার্টফোন প্রস্তুত করতে কত খরচ হয়? এত টাকা দামের ফোনগুলো তৈরি করতে কোম্পানিগুলোর কত টাকা খরচ হয়? তারা কতই বা মুনাফা অর্জন করে থাকে ফোনগুলো থেকে? জেনে হয়তো অবাক হবেন কিছু কিছু স্মার্টফোন থেকে কোম্পানিগুলো প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি লাভ করে থাকে। চলুন দেখা যাক কিছু স্মার্টফোন তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়, কত টাকায় বিক্রি করা হয় এবং কত টাকা লাভ করা হয়। ১. অ্যাপল আইফোন টেন (৬৪ জিবি) তৈরিকৃত খরচ- ৩৭০.২৫ মার্কিন ডলার বিক্রিত দাম- ৯৯৯ মার্কিন ডলার লাভ- ৬২.৯৩% ২. অ্যাপল আইফোন ৮ (৬৪ জিবি) তৈরিকৃত খরচ- ২৫৫.১৬ মার্কিন ডলার বিক্রিত দাম- ৬৯৯ মার্কিন ডলার লাভ- ৬৩.৪৯% ৩. গুগল পিক্সেল এক্সএল (৩২ জিবি) তৈরিকৃত খরচ- ২৮৫.৭৫ মার্কিন ডলার বিক্রিত দাম- ৭৬৯ মার্কিন ডলার লাভ- ৬২.৮৪% ৪. স্যামসাং এস ৯ প্লাস তৈরিকৃত খরচ- ৩৭৯ মার্কিন ডলার বিক্রিত দাম- ৮৩৯ মার্কিন ডলার লাভ- ৫৪.৮% ৫. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮ তৈরিকৃত খরচ- ৩০৭.৫০ মার্কিন ডলার বিক্রিত দাম- ৭২০ মার্কিন ডলার লাভ- ৫৭.৩% এই দামগুলো কীভাবে নির্ধারিত হয়? একটি স্মার্টফোনের মূল্য সামগ্রিকভাবে সরল একটি সংখ্যা হলেও এর দাম নির্ভর করে বিভিন্ন যন্ত্রাংশের উপর। যেমন ডিসপ্লে, ক্যামেরা, টাচ, চিপসেট, বডি ইত্যাদি। এ অংশগুলো আলাদাভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব আলাদা যন্ত্রাংশগুলো একসাথে যুক্ত করা হয়। যাকে প্রযুক্তির ভাষায় ম্যানুফ্যাকচারিং বলা হয়। চলুন অ্যাপল আইফোন টেন ও স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮-এর শুধু যন্ত্রাংশগুলোর উপর ভিত্তি করলে তাদের কত টাকা খরচ হয় সে বিষয়ে জানা যাক। IHS Markit এর একটি গবেষণাপত্রের বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া গেছে অ্যাপল আইফোন টেন-এর উৎপাদন খরচ মাত্র ৩০৭.২৫ মার্কিন ডলার (Techwalls-এর মতে ৩৮৯.৫০ মার্কিন ডলার)। যা কোম্পানিটির একইসাথে বের করা আইফোন ৮-এর তুলনায় ৪৫% বেশি। এই দুই স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশের দামের মধ্যে প্রায় ১২২ মার্কিন ডলার পার্থক্য রয়েছে। কারণ প্রতিটি আইফোন টেনের স্ক্রিনের পেছনে অ্যাপলকে ১১০ ডলার করে খরচ করতে হয়েছে। অন্যদিকে আইফোন ৮ এর স্ক্রিনের দাম ৫২.৫০ ডলার। আইফোন টেনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর ফেস আইডি। যা ‘ট্রু ডেপথ ক্যামেরা’-র উপর ভিত্তি করে তৈরি। এক্ষেত্রে অ্যাপলের প্রতিটি ফোনে খরচ হয়েছে ১৭.৭০ মার্কিন ডলার। আইফোন টেনের কেসিংয়ে ব্যবহৃত স্টেইনলেস স্টিলের কারণে প্রতিটি ফোনে খরচ লেগেছে ৬০ ডলার করে যা আইফোন ৮-এর চেয়ে ১০ ডলার বেশি। এভাবে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা যন্ত্রাংশের দাম এক করলে আইফোন টেনের সত্যিকারের উৎপাদন খরচ আসে ৩০৭.৫০ ডলার। এই দামের সাথে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন, মার্কেটিং, কর, শোরুম, ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি খরচ যোগ হয়। তবে এসব হিসেবে আনলেও অ্যাপল তার প্রতিটি আইফোন টেন থেকে দ্বিগুণেরও বেশি লাভ করে থাকে। এবার আসি স্যামসাং-এর গ্যালাক্সি এস ৮-এর যন্ত্রাংশের দামের ব্যাপারে।IHS Markit-এর মতে প্রতিটি গ্যালাক্সি এস ৮-এর যন্ত্রাংশের পেছনে স্যামসাংয়ের খরচ পড়ে ৩০১.৬০ মার্কিন ডলার। এটি ম্যানুফ্যাকচার করতে স্যামসাংয়ের আরো ৫.৯ ডলার করে খরচ হয়। ফলে মোট দাম আসে ৩০৭.৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। এর মতে ফোনটির ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমরি এবং ডির্যাম-এর পেছনে খরচ পড়ে প্রায় স্মার্টফোনগুলি কোথায় প্রস্তুত করা হয়? অধিকাংশ স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের ফোনগুলোর ম্যানুফ্যাকচার করে থাকে চীনে। এর পেছনে কারণ হলো, এই কোম্পানিগুলোকে একসাথে লক্ষ লক্ষ স্মার্টফোন প্রস্তুত করতে হয়। অধিক সংখ্যক স্মার্টফোন প্রস্তুত করতে অধিক শ্রমশক্তির প্রয়োজন। চীনের শ্রম বাজার একই সাথে সস্তা এবং অভিজ্ঞ। সবদিক থেকে স্বল্প খরচে এবং ভালো মানের উৎপাদনের জন্য কোম্পানিগুলো চীনকেই বেছে নেয় সবার আগে। চীনে প্রতিটি স্মার্টফোনের পেছনে কোম্পানিগুলোর মাত্র ৪ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ১০ ডলার ম্যানুফ্যাকচারিং খরচ হয়। অধিক জনসংখ্যা এবং সুলভ শ্রমশক্তি থাকার কারণে বর্তমানে বড় বড় কোম্পানিগুলো ভারতেও তাদের স্মার্টফোন তৈরি করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে।
Back to posts
This post has no comments - be the first one!

UNDER MAINTENANCE
CONTACT
 facebook
  gmail
 twitter
 message
  call  ,  call 2
CRADIT
© Copyright - 2019
This website
create with xtgem
Designed By IA SOYEB
Symptoma.ro
XtGem Forum catalog